সন্তানদের শাসন করা
পারিবারিক সুখের চাবিকাঠি
সন্তানদের শাসন করা
জন: * আমার বাবা-মা আমাকে কোনো ভুল কাজের জন্য শাস্তি দেওয়ার আগে, কেন আমি সেই ভুলটা করেছি এবং কী পরিস্থিতিতে তা করেছি, সেটা বোঝার জন্য আন্তরিক চেষ্টা করত। আমি যখন আমার মেয়েদের সংশোধন করি, তখন আমিও বাবা-মার পদ্ধতি অনুকরণ করার চেষ্টা করি। আমার স্ত্রী আ্যলিসন এক ভিন্ন পটভূমি থেকে এসেছে। তার বাবা-মা ছিল বেশি আবেগপ্রবণ। তারা একটা ঘটনার আগের ও পরের পরিস্থিতি চিন্তা না করেই হয়তো তাদের সন্তানদেরকে কঠোরভাবে শাস্তি দিত। মাঝে মাঝে আমার মনে হয়, আমার স্ত্রী আমাদের সন্তানদের একইরকম কঠোরভাবে শাসন করে।
ক্যারল: আমার বয়স যখন পাঁচ বছর, তখন আমার বাবা আমাদের পরিবারকে অসহায় অবস্থায় ফেলে রেখে চলে গিয়েছেন। তিনি আমার প্রতি বা আমার তিন বোনের প্রতি কোনো আগ্রহ দেখাননি। আমার মা আমাদের ভরণপোষণ করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতেন আর আমি আমার ছোটো বোনদের দেখাশোনা করার জন্য অনেক দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলাম। সাধারণত অল্পবয়সিরা যেভাবে মজা করে, আমার পক্ষে তা করা কঠিন ছিল কারণ তখন আমাকেই বাবা অথবা মায়ের ভূমিকা পালন করতে হয়েছে। তাই, এখনও আমি হাসিঠাট্টা করার চেয়ে বরং গম্ভীর থাকতে পছন্দ করি। যখন আমার সন্তানদের শাসনের প্রয়োজন হয়, তখন আমি তাদের ভুলগুলো নিয়ে যথেষ্ট চিন্তা করি এবং উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি। আমি জানতে চাই, বিষয়টা কেন ঘটেছে আর বিষয়টা নিয়ে কীভাবে চিন্তা করা হয়েছে। এর বৈসাদৃশ্যে আমার স্বামী মার্ক সংঘটিত বিষয়গুলো নিয়ে খুব একটা চিন্তা করে না। সে একজন প্রেমময় অথচ কড়া বাবার অধীনে মানুষ হয়েছে, যিনি তার মাকে দায়িত্বের সঙ্গে যত্ন নিয়েছেন। আমার স্বামী আমাদের মেয়েদের সমস্যাগুলো খুব তাড়াতাড়ি মীমাংসা করে। সে পরিস্থিতিটা মূল্যায়ন করে, সংশোধন করে আর এরপর সেই বিষয় নিয়ে আর চিন্তা করে না।
জন এবং ক্যারলের মন্তব্য দেখায় যে, ছেলেবেলায় আপনাকে যেভাবে মানুষ করা হয়েছে, তা আপনি যেভাবে নিজের সন্তানদের শাসন করেন তার ওপর এক গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। একজন স্বামী ও স্ত্রী যখন ভিন্ন পারিবারিক পটভূমি থেকে আসে, তখন সন্তানদের শাসন করার বিষয়ে তাদের হয়তো ভিন্নতর দৃষ্টিভঙ্গি থাকতে পারে। একসময়ে এই মতভেদগুলো বিবাহে বিভিন্ন সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
প্রচণ্ড ক্লান্তির ফলে সমস্যাগুলো আরও খারাপের দিকে যেতে পারে। নতুন বাবা-মায়েরা শীঘ্র জানতে পারে যে, সন্তানদের শাসন করা হল ক্লান্তিকর আর এর জন্য যথেষ্ট সময় দিতে হয়। জোন, যিনি তার স্বামী ড্যারেনের সঙ্গে দুটো মেয়েকে মানুষ করে তুলেছেন, বলেন: “আমি আমার মেয়েদের ভালোবাসি, কিন্তু আমি তাদেরকে যে-সময়ে ঘুমাতে যেতে বলতাম, খুব কমক্ষেত্রেই তারা সেই সময়ে ঘুমাতে যেতে চাইত। তারা অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থাকত। আমি যখন কথা বলতে চাইতাম, তারা ব্যাঘাত সৃষ্টি করত। তারা তাদের জুতো, কাপড়চোপড় এবং খেলনাপাতি ছড়িয়েছিটিয়ে রাখত এবং ফ্রিজ থেকে বাটার বের করে কখনোই আবার জায়গামতো রাখত না।”
জ্যাক, যার স্ত্রী তাদের দ্বিতীয় সন্তানের জন্মের পর পোস্টপার্ট্যাম ডিপ্রেশন (প্রসবোত্তর বিষণ্ণতা) ভোগ করেছিলেন, তিনি বলেন: “আমি প্রায়ই কাজ থেকে ক্লান্ত হয়ে ঘরে ফিরতাম আর এরপর আমাদের নবজাত শিশুর জন্য গভীর রাত অবধি জেগে থাকতাম। এটা আমাদের জন্য আমাদের বড় মেয়েকে সংগতিপূর্ণভাবে শাসন করাকে কঠিন করে তুলেছিল। সে ঈর্ষান্বিত হতো যখন আমরা তার সঙ্গে সঙ্গে তার ছোটো বোনের প্রতিও মনোযোগ দিতাম।”
সন্তানকে কীভাবে প্রশিক্ষণ দেবে, সেই বিষয়ে যখন পরিশ্রান্ত বাবা-মা বিবাদ করে, তখন ছোটোখাটো বিতর্ক বড় ধরনের ঝগড়ায় ফেটে পড়তে পারে। অমীমাংসিত মতভেদগুলো এক দম্পতির মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করতে পারে এবং বাবা-মাকে স্বীয়স্বার্থে ব্যবহার করার জন্য সন্তানকে সুযোগ করে দিতে পারে। সন্তানদের কার্যকারীভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়ার সময় বাইবেলের কোন নীতিগুলো এক দম্পতিকে এক দৃঢ় বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ থাকতে সাহায্য করবে?
আপনার বিবাহসাথির জন্য সময় বের করে নিন
সন্তান জন্ম হওয়ার আগেই বাবা-মা যেন বিবাহিত হয় এবং সন্তানরা ঘর ছেড়ে চলে যাওয়ার পরও যেন সেই বিয়ে টিকে থাকে। বৈবাহিক বন্ধনের বিষয়ে বাইবেল বলে: “ঈশ্বর যাহার যোগ করিয়া দিয়াছেন, মনুষ্য তাহার বিয়োগ না করুক।” (মথি ১৯:৬) অন্যদিকে, একই বর্ণনা দেখায়, ঈশ্বর চেয়েছিলেন যে একটা সন্তান অবশেষে তার ‘পিতা ও মাতাকে ত্যাগ করিবে।’ (মথি ১৯:৫) বস্তুতপক্ষে, সন্তানদের মানুষ করাই বিয়ের একমাত্র ভিত্তি নয় বরং এর একটা অংশ। নিশ্চিতভাবেই, সন্তানদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য বাবা-মার সময় দিতে হবে কিন্তু তাদের মনে রাখা উচিত যে, এই প্রশিক্ষণ দেওয়ার উত্তম ভিত্তি হচ্ছে এক অটুট বিবাহ।
সন্তানদের বেড়ে ওঠার সময়গুলোতে কোন একটা উপায়ে এক দম্পতি তাদের সম্পর্ককে অটুট রাখতে পারে? যদি সম্ভব হয়, তাহলে সন্তানদের ছাড়া নিয়মিতভাবে একত্রে কাটানোর জন্য কিছুটা সময় আলাদা করে রাখুন। তা করা আপনাকে পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আলোচনা করার এবং একে অন্যের সাহচর্য উপভোগ করার সুযোগ করে দেবে। এটা স্বীকার করতেই হবে যে, দম্পতি হিসেবে একত্রে কাটানোর জন্য সময় বের করা সহজ নয়। আ্যলিসন, যে-মায়ের বিষয় আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি বলেন, “ঠিক যখনই মনে হয় যে, আমি ও আমার স্বামী হয়তো একত্রে কিছুটা সময় কাটাতে পারব, তখনই আমাদের সবচেয়ে ছোটো মেয়েটা মনোযোগ পেতে চায় অথবা আমাদের ছয় বছর বয়সি মেয়েটা কোনো ‘সংকটের’ মধ্যে পড়ে যায়, যেমন সে হয়তো তখন তার মোমের রংগুলো খুঁজে পাচ্ছে না।”
আগে উল্লেখিত, জোন এবং ড্যারেন তাদের মেয়েদের ঘুমাতে যাওয়ার জন্য নির্ধারিত একটা সময় কার্যকর করার এবং মেয়েরা সেই সময়ে তা করছে কি না, তা নিশ্চিত করার মাধ্যমে একে অন্যের জন্য সময় বের করে। “আমাদের মেয়েদের সবসময়ই একটা নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যেতে হতো এবং ‘বাতি বন্ধ’ করতে হতো,” জোন বলেন। “এটা ড্যারেন এবং আমাকে সুস্থিরভাবে কথা বলার জন্য সময় প্রদান করত।”
তাদের সন্তানদের জন্য ঘুমাতে যাওয়ার এক নিয়মিত সময়ের তালিকা নির্ধারণ করার মাধ্যমে এক দম্পতি কেবল তাদের জন্যই যে সময় বের করতে পারে তা নয়, বরং সন্তানকেও “আপনার বিষয়ে যেমন বোধ করা উপযুক্ত, . . . তদপেক্ষা বড় বোধ” না করতে সাহায্য করে। (রোমীয় ১২:৩) অবশেষে, সন্তানরা যারা ঘুমাতে যাওয়ার সময় সংক্রান্ত নিয়মগুলোকে সম্মান করার জন্য প্রশিক্ষিত হয়, তারা বুঝতে পারে যে, তাদের পরিবার একটা চাকার মতো আর তারা সেই চাকার কেন্দ্র নয় বরং কেন্দ্র থেকে ছড়ানো প্রয়োজনীয় একটা স্পোকের মতো—পরিবারের তালিকা তাদের খেয়ালখুশিমতো চালিত হবে এমন আশা করার পরিবর্তে তাদেরকে পরিবারের তালিকা মেনে চলতে হবে।
এটা করে দেখুন: ঘুমাতে যাওয়ার জন্য একটা নিয়মিত সময় নির্ধারণ করুন এবং সবসময় তা বলবৎ করুন। যদি আপনার সন্তান আরও কিছুটা সময় জেগে থাকার কোনো কারণ দেখায়, যেমন এক গ্লাস জল চায়, তাহলে আপনি হয়তো সেই অনুরোধটা রাখতে চাইবেন। কিন্তু, আপনার সন্তানের এমন অসংখ্য অনুরোধের কারণে সবসময়ই তার ঘুমাতে যাওয়ার সময়কে বিলম্বিত করতে দেবেন না। আপনার সন্তান যদি নির্ধারিত সময়ের চেয়ে আরও পাঁচ মিনিট জেগে থাকার জন্য অনুনয়বিনয় করে আর আপনি তার অনুরোধ রাখতে চান, তাহলে পাঁচ মিনিট পর বেজে ওঠার জন্য ঘড়িতে আ্যলার্ম সেট করুন। যখন আ্যলার্ম বাজে, সন্তানের আর কোনো অনুরোধের প্রতি সাড়া না দিয়ে তাকে বিছানায় যেতে বলুন। আপনার “হাঁ, হাঁ, না, না, হউক।”—মথি ৫:৩৭.
মতের অমিল প্রকাশ করবেন না
“বৎস, তুমি তোমার পিতার উপদেশ শুন, তোমার মাতার ব্যবস্থা ছাড়িও না,” একটা বিজ্ঞ প্রবাদ বলে। (হিতোপদেশ ১:৮) বাইবেলের এই পদ ইঙ্গিত দেয় যে, বাবা-মা উভয়েরই তাদের সন্তানদের ওপর কর্তৃত্ব প্রয়োগ করার অধিকার রয়েছে। কিন্তু, এমনকী এক দম্পতি যখন একই পারিবারিক পটভূমি থেকে আসে, তখনও তারা হয়তো সন্তানকে যেভাবে শাসন করা উচিত এবং একটা নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে পারিবারিক কোন নিয়মগুলো কাজে লাগানো উচিত, সেই বিষয়গুলোতে একমত না-ও হতে পারে। কীভাবে বাবা-মা এই প্রতিদ্বন্দ্বিতার সঙ্গে সফলভাবে মোকাবিলা করতে পারে?
আগে উল্লেখিত জন বলেন, “আমি মনে করি যে, সন্তানদের সামনে মতের অমিল প্রকাশ না করাটা গুরুত্বপূর্ণ।” কিন্তু তিনি স্বীকার করেন যে, মতের অমিল প্রকাশ না করার বিষয়টা বলা খুবই সহজ কিন্তু সেইমতো করা কঠিন। “সন্তানরা সবকিছু খুব তাড়াতাড়ি বুঝতে পারে,” জন বলেন। “এমনকী যদি মতের অমিল প্রকাশ না-ও করা হয়, তবুও আমাদের মেয়ে আবেগঅনুভূতিকে বুঝতে পারে।”
জন এবং আ্যলিসন কীভাবে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা কাটিয়ে উঠেছিলেন? আ্যলিসন বলেন: “আমার স্বামী আমাদের মেয়েকে যেভাবে শাসন করে, সেই বিষয়ে আমি যদি একমত না হই, তাহলে আমার মত প্রকাশ করার ১ করিন্থীয় ১১:৩; ইফিষীয় ৬:১-৩) জন বলেন: “যখন আমরা পরিবারগতভাবে একসঙ্গে থাকি, তখন মেয়েদের শাসন করায় আমিই পদক্ষেপ নিই। কিন্তু, আ্যলিসন যদি কোনো একটা পরিস্থিতি সম্বন্ধে আরও বেশি অবগত থাকে, তাহলে শাসনের বিষয়ে আমি তাকেই পদক্ষেপ নিতে বলি আর এই বিষয়ে আমি তাকে সমর্থন করি। কোনো বিষয়ে যদি আমি তার সঙ্গে একমত না হই, তাহলে পরে আমি তার সঙ্গে সেই বিষয়ে আলোচনা করি।”
জন্য আমি ততক্ষণ পর্যন্ত অপেক্ষা করি, যতক্ষণ পর্যন্ত না আমাদের মেয়ে আমাদের কথা শুনতে পাবে না এমন স্থানে চলে যায়। আমি আমাদের মেয়েকে এমনটা চিন্তা করতে দিতে চাই না যে, সে আমাদের মধ্যে থাকা ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির সুযোগ নিয়ে ‘বিভেদ জন্মাতে এবং জয়ী হতে’ পারে। যদি সে বুঝতে পারে আমরা একমত নই, তখন আমি তাকে বলি যে, পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে যিহোবার ব্যবস্থা অনুসরণ করতে হবে আর তাই আমি স্বেচ্ছায় তার বাবার মস্তকপদের বশীভূত হই, যেমনটা তারও বাবা-মা হিসেবে আমাদের কতৃত্বের বশীভূত হওয়া উচিত।” (সন্তান প্রশিক্ষণের বিষয়ে মতভেদগুলোর কারণে আপনার ও আপনার সাথির মধ্যে অসন্তুষ্টি গড়ে ওঠাকে—আর এর ফলস্বরূপ আপনার জন্য আপনার সন্তানের সম্মান কমে যাওয়াকে—আপনি কীভাবে প্রতিরোধ করতে পারেন?
এটা করে দেখুন: সন্তানদের প্রশিক্ষণের বিষয়ে কথা বলার জন্য প্রত্যেক সপ্তাহে একটা নির্ধারিত সময় বের করে নিন এবং আপনাদের মধ্যে থাকা যেকোনো ধরনের মতভেদকে খোলাখুলিভাবে আলোচনা করুন। আপনার সাথির দৃষ্টিভঙ্গিও বোঝার চেষ্টা করুন এবং সন্তানের সঙ্গে আপনার স্বামী বা স্ত্রীরও যে-সম্পর্ক রয়েছে, সেটার প্রতি সম্মান দেখান।
বাবা-মা হিসেবে আরও ঘনিষ্ঠ হোন
কোনো সন্দেহ নেই যে, সন্তানদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হল কঠিন কাজ। মাঝে মাঝে, এই কাজে মনে হতে পারে যে আপনার শক্তির অনেকটাই নিঃশেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, আজ হোক বা কাল হোক, আপনার সন্তানরা ঘর ছেড়ে যাবে এবং স্বামী ও স্ত্রী হিসেবে আপনারা কেবল একে অন্যের জন্য থাকবেন, যেমনটা সন্তানরা হওয়ার আগে আপনারা ছিলেন। সন্তানদের মানুষ করে তোলার অভিজ্ঞতার দ্বারা আপনার বিবাহবন্ধন কি শক্তিশালী হবে নাকি চাপপূর্ণ হবে? এই উত্তরটা নির্ভর করবে আপনি উপদেশক ৪:৯, ১০ পদে পাওয়া এই নীতিটি কতটা উত্তমভাবে কাজে লাগান, তার ওপর: “এক জন অপেক্ষা দুই জন ভাল, কেননা তাহাদের পরিশ্রমে সুফল হয়। কারণ তাহারা পড়িলে এক জন আপন সঙ্গীকে উঠাইতে পারে।”
বাবা-মারা যখন সঙ্গী হিসেবে কাজ করে, তখন ফলাফল খুবই সন্তোষজনক হতে পারে। আগে উল্লেখিত ক্যারল তার অনুভূতিকে এভাবে প্রকাশ করেন: “আমি জানি যে, আমার স্বামীর অনেক ভালো ভালো গুণ রয়েছে কিন্তু একত্রে সন্তানদের মানুষ করে তোলাটা আমার কাছে তার আরও অনেক উত্তম গুণ প্রকাশ করেছে। যখন আমি আমাদের মেয়েদের প্রতি তার ভালোবাসাপূর্ণ যত্ন দেখেছি, তখন তার প্রতি আমার সম্মান ও ভালোবাসা বৃদ্ধি পেয়েছে।” আ্যলিসনের বিষয়ে জন বলেন, “আমার স্ত্রীকে একজন যত্নশীল মা হিসেবে গড়ে উঠতে দেখা, তার প্রতি আমার ভালোবাসা ও সম্মানকে গভীর করেছে।”
আপনি যদি আপনার সাথির জন্য সময় বের করে নেন এবং আপনার সন্তানদের বেড়ে ওঠার বছরগুলোতে একটা দল হিসেবে দুজনে কাজ করেন, তাহলে আপনার সন্তানদের বড় হয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে আপনার বিবাহসম্পর্ক আরও অটুট হবে। আপনি আপনার সন্তানদের জন্য আর কোন উত্তম উদাহরণই বা স্থাপন করতে পারেন? (w০৯ ২/১)
[পাদটীকা]
^ নামগুলো পরিবর্তন করা হয়েছে।
নিজেকে জিজ্ঞেস করুন . . .
▪ আমি প্রত্যেক সপ্তাহে সন্তানদের ছাড়া আমার সাথির সঙ্গে কতটা সময় ব্যয় করি?
▪ আমার স্বামী বা স্ত্রী যখন আমাদের সন্তানদের শাসন করে, তখন কীভাবে আমি তাকে সমর্থন করি?