সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

পাঠ ৩

সুসমাচার কি আসলেই ঈশ্বরের কাছ থেকে?

সুসমাচার কি আসলেই ঈশ্বরের কাছ থেকে?

১. বাইবেলের গ্রন্থকার কে?

 মানুষ যে চিরকাল পৃথিবীতে বাস করবে, সেই সুসমাচার বাইবেলে লেখা রয়েছে। (গীতসংহিতা ৩৭:২৯) বাইবেল ৬৬টি ছোটো ছোটো বই নিয়ে গঠিত। এগুলো লেখার জন্য ঈশ্বর প্রায় ৪০ জন বিশ্বস্ত পুরুষকে ব্যবহার করেছিলেন। প্রথম পাঁচটি বই প্রায় ৩,৫০০ বছর আগে মোশি লিখেছিলেন। শেষ বইটি ১,৯০০ বছরেরও বেশি সময় আগে প্রেরিত যোহন লিখেছিলেন। বাইবেল লেখকরা কার ধারণাগুলো লিখেছিল? ঈশ্বর তাঁর পবিত্র আত্মার মাধ্যমে বাইবেল লেখকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। (২ শমূয়েল ২৩:২) তারা নিজেদের নয় বরং ঈশ্বরেরই চিন্তাভাবনা সম্বন্ধে লিখেছিল। তাই, যিহোবা হলেন বাইবেলের গ্রন্থকার।—পড়ুন, ২ তীমথিয় ৩:১৬; ২ পিতর ১:২০, ২১.

 বাইবেলের গ্রন্থকার কে? শিরোনামের ভিডিওটা দেখুন।

২. কীভাবে আমরা নিশ্চিত হতে পারি যে, বাইবেল সত্য?

 আমরা জানি যে, বাইবেল ঈশ্বরের কাছ থেকে কারণ এটি ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে একেবারে সঠিক এবং বিস্তারিতভাবে জানায়। কোনো মানুষই তা জানাতে পারে না। (যিহোশূয়ের পুস্তক ২৩:১৪) একমাত্র সর্বশক্তিমান ঈশ্বরই মানবজাতির ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে সঠিকভাবে জানতে পারেন।—পড়ুন, যিশাইয় ৪২:৯; ৪৬:১০.

 আমরা আশা করতে পারি যে, ঈশ্বরের কাছ থেকে একটি বই একেবারে আলাদা হবে, আর এটি ঠিক তা-ই। বাইবেলের কোটি কোটি কপি শত শত ভাষায় বিতরণ করা হয়েছে। যদিও বাইবেল একটি প্রাচীন বই কিন্তু তা সত্ত্বেও এটির সঙ্গে প্রমাণিত বিজ্ঞানের মিল রয়েছে। এ ছাড়া, বাইবেলের ৪০ জন লেখকের লেখার মধ্যে কোনো অমিল নেই। a অধিকন্তু, বাইবেল ঈশ্বরের স্পষ্ট প্রেমের এক প্রকাশ আর এটির লোকেদের জীবনকে আরও উন্নত করার ক্ষমতা রয়েছে। এই বিষয়গুলো লক্ষ লক্ষ ব্যক্তিকে এই বিষয়ে দৃঢ়প্রত্যয়ী করেছে যে, বাইবেল হল ঈশ্বরের বাক্য।—পড়ুন, ১ থিষলনীকীয় ২:১৩.

 কীভাবে আমরা নিশ্চিত হতে পারি যে, বাইবেল সত্য? শিরোনামের ভিডিওটা দেখুন।

৩. বাইবেলের বিষয়বস্তু কী?

 বাইবেল এই সুসমাচারের ওপর কেন্দ্রীভূত যে, মানবজাতির জন্য ঈশ্বরের এক প্রেমময় উদ্দেশ্য রয়েছে। শাস্ত্র ব্যাখ্যা করে যে, কীভাবে মানুষ মানবইতিহাসের শুরুতে পরমদেশ পৃথিবীতে বেঁচে থাকার এক বিশেষ সুযোগ হারিয়েছিল এবং কীভাবে অবশেষে পরমদেশ পুনরায় স্থাপিত হবে।—পড়ুন, প্রকাশিত বাক্য ২১:৪, ৫.

 এ ছাড়া, ঈশ্বরের বাক্যে বিভিন্ন আইন, নীতি এবং উপদেশ রয়েছে। অধিকন্তু, মানবজাতির সঙ্গে ঈশ্বরের আচরণ সম্বন্ধীয় ইতিহাসও বাইবেলে রয়েছে, যে-ইতিহাস ঈশ্বরের ব্যক্তিত্ব সম্বন্ধে প্রকাশ করে। তাই, ঈশ্বরকে জানতে বাইবেল আপনাকে সাহায্য করতে পারে। এটি জানায় যে, কীভাবে আপনি তাঁর বন্ধু হতে পারেন।—পড়ুন, গীতসংহিতা ১৯:৭, ১১; যাকোব ২:২৩; ৪:৮.

৪. কীভাবে আপনি বাইবেল বুঝতে পারবেন?

 এই ব্রোশারটি আপনাকে সেই একই পদ্ধতিতে বাইবেল বুঝতে সাহায্য করবে, যে-পদ্ধতি যিশু ব্যবহার করেছিলেন। তিনি একটার পর একটা বাইবেলের পদ উল্লেখ করেছিলেন এবং ‘শাস্ত্র বুঝাইয়া’ দিয়েছিলেন।—পড়ুন, লূক ২৪:২৭, ৪৫.

 ঈশ্বরের কাছ থেকে সুসমাচারের মতো রোমাঞ্চকর বিষয় খুব কমই আছে। তা সত্ত্বেও, কিছু লোক এটির প্রতি উদাসীন মনোভাব দেখিয়ে থাকে আর অন্যেরা এমনকী বিরক্তও হয়। নিরুৎসাহিত হয়ে পড়বেন না। আপনার অনন্তজীবন লাভ করার আশা ঈশ্বরকে জানার ওপর নির্ভর করে।—পড়ুন, যোহন ১৭:৩.

 

a সমস্ত লোকের জন্য একটি পুস্তক (ইংরেজি) ব্রোশারটি দেখুন।